সেচচার্জ আদায়ের জন্য প্রি-পেইড মিটার :
বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সেচের বিনিময়ে কৃষকদের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করে। সেচ চার্জ আদায়ের জন্য পূর্বে কুপন পদ্ধতি চালু ছিল। জাল কুপন, টাকা সংরক্ষণ, কৃষকদের আর্থিকভাবে প্রতারণা ইত্যাদি সমস্যার কারণে সেচের অর্থ আদায়ের জন্য ২০০৫ সাল হতে প্রি-পেইড মিটার কার্যক্রম চালু করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি গভীর নলকূপের পাম্পের সাথে একটি প্রি-পেইড মিটার সংযুক্ত থাকে। প্রত্যেক কৃষককে তার ছবি ও ব্যবহার নম্বর সম্বিলত একটি প্রি-পেইড কার্ড সরবরাহ করা হয়। প্রত্যেক বিএমডিএ দপ্তর হতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডিলার নিয়োগ করা হয়। ডিলারদের কাছে একটি ভেন্ডিং মেশিন থাকে। এতে ডিলারগণ প্রয়োজন অনুযায়ী বিএমএডিএ উপজেলা দপ্তর হতে অর্থ রির্চাজ করে।
একইভাবে কৃষকগণ তাদের কার্ডে ডিলারের নিকট হতে অর্থ রিচার্জ করতে পারে। চার্ককৃত কার্ডটি গভীর নলকূপে সংযোজিত প্রি-পেইড মিটিারের নির্ধারিত স্থানে প্রবেশ করে সেচের পানি গ্রহণ করে । এ ব্যবস্থায় অর্থ আত্নসাতের কোন সুযোগ নেই। এ পদ্ধতিতে সেচের ব্যয় ও পানির অপচয় হ্রাস পেয়েছে এবং কৃষকদের আর্থিকভাবে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বন্ধ হয়েছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে প্রথম প্রি-পেইড মিটার পদ্ধতি অর্থ আদায় কার্যক্রম শুরু করে।